সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ বোলারদের দাপটের পর ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লেতে আফগানরা তিন উইকেট হারালেও মোহাম্মদ নবী ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় রশিদ খানের দল। বাংলাদেশকে ১৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিয়েছে আফগানিস্তান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই ফিরলেন হজরতউল্লাহ জাজাই। পাওয়ার প্লের ভেতরেই আফগানিস্তানের দুই ওপেনারকে ফেরাল বাংলাদেশ। নাসুমের পর তাসকিনের আঘাত। চতুর্থ ওভারে তাসকিনের লেগ স্টাম্পের ওপর করা স্লোয়ার ডেলিভারি অন সাইডে বড় শটের চেষ্টা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু গতি কম থাকায় যতটা দূরে পাঠাতে চেয়েছিলেন সেটা পারেননি তিনি। ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর পঞ্চম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই উইকেট শিকারে যোগ দিলেন শরিফুল ইসলাম। চতুর্থ বলে কট বিহাইন্ড হলেন ইব্রাহিম জাদরান।
দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছে বাংলাদেশ। টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করতে পেরেছে আফগানিস্তান।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে একের পর এক উইকেট তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ। পঞ্চাশ পেরোনোর পরপরই চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে আফগানরা। অষ্টম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই সাফল্যের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান। গতি কমিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন করিম জানাত।
কিন্তু ঠিকঠাক শট করতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে হাওয়ায় ভেসে বল উঠে যায় মিড অফের দিকে। লং অন থেকে দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী। এই দুই ব্যাটারের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভীত গড়তে থাকে আফগানিস্তান। কিন্তু ১৪তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন জাদরান। ২৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৮৭ রান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
জাদরান ফির গেলেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝড়ো ১৮ বলে ৩৩ রান এবং অভিজ্ঞ নবীর ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব । সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নবী।