ভালো দিয়ে বিশ্বকাপের শুরুটা শুরু করল বাংলাদেশ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারত মিশনের শুরুটা রাঙাল সাকিব আল হাসানের দল।
শনিবার ধর্মশালায় আফগানিস্তানের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যের জবাবে ইনিংসের শুরুতেই দেখে-শুনে খেলছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস-তানজিদ তামিম। কিন্তু ৫ম ওভারেই ঘটল বিপত্তি! ফজল হক ফারুকির করা বল কাভারে ঠেলে রান নেয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। রান নেয়ার চেষ্টা করেননি তিনি। তবে অন্য প্রান্ত থেকে তামিম ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছিলেন, লিটনের কল না শুনেই। নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন তানজিদ।
তামিমকে হারানোর কিছুক্ষণ পর বিদায় নিয়েছেন লিটনও। ১৮ বলে ১৩ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার ফজলহকের বলে বোল্ড হন। চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে চাপ সামলাতে কার্যকারি এক জুটি গড়ে তোলেন মেহেদী মিরাজ ও নাজমুল শান্ত।
দুই দফা জীবন পেয়ে ফিফটি হাঁকানো মিরাজ থামলেন অবশেষে। নাভিন উল হককে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু সেখানে দারুণভাবে ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন রহমত শাহ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৭৩ বলে ৫৭ রান। তবে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করেই গেছেন তিনি। এশিয়া কাপে আফগানদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে ফিফটি। মেহেদী হাসান মিরাজের প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে যেন আফগানিস্তান।
বিশ্বকাপের আগ মুর্হূতে মাঠ ও মাঠের বাইরের বিভিন্ন ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে ভারতে পৌঁছার পর পিছনের সব বিতর্ক পিছনে ফেলে উজ্জীবিত এক বাংলাদেশ।
আফগানদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও, শক্তির বিচারে দুই দলই প্রায় সমানে সমান। যদিও পরিসংখ্যানে অনেকখানি এগিয়ে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের ছয় জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ ম্যাচ। সর্বশেষ এশিয়া কাপে রশিদ-নবীদের হারিয়েছে টাইগাররা।