ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টানা পাঁচ জয় ভারতের

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টানা পাঁচ জয় ভারতের

২০০৩ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছিল ভারত। এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই দশক। এই সময়ে আইসিসি ইভেন্টে কোনো ম্যাচে কিউইদের হারাতে পারেনি ভারত। অবশেষে ঘরের মাঠে সেই আক্ষেপ ঘুচালো রোহিত শর্মার দল। সেই সাথে টানা পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে রোহিত শর্মার দল।

বিরাট কোহলি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তাকে সময়ের সেরা ক্রিকেটার বলা হয়। দল যখন ধুঁকছিল তখনও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরিও পেয়েছিলেন। এই ম্যাচেও পেতে পারতেন। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন কোহলি।

রোববার (২২ অক্টোবর) ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেছেন বিরাট কোহলি। তবে বড় আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটিং সেনসেশন।

জয় পেতে ভারতের যখন ৫ রান দরকার, সেঞ্চুরির জন্য কোহলিরও তখন পাঁচ রানই প্রয়োজন ছিল। তাই বাউন্ডারি মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন কোহলি। এই সেঞ্চুরি পেলে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হতে পারতেন কোহলি। ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন শচীন টেন্ডুলকারকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নিজের ৪৮তম শতক পূর্ণ করেছেন কোহলি। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলে তিনি শচীনের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডকে ছুঁয়ে ফেলতেন। মাত্র পাঁচ রানের দূরত্বে থেকে সেটা করতে পারেননি এই ক্রিকেটার। তাই আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। কোহলির সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ ছিল ভারতের দর্শক এবং ক্রিকেটারদের মনেও।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে টম ল্যাথামের দল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন রচীন রবীন্দ্র এবং ড্যারেল মিচেল। দুজনে মিলে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি।

শুরুর দিকে রবীন্দ্রের একটি ক্যাচ ফেলেছিলেন জাদেজা। সেটার মূল্য ভালোভাবেই চুকাতে হয়েছে ভারতকে। রবীন্দ্র-মিচেল মিলে রীতিমতো ঘাম ছুটিয়েছেন ভারতীয় বোলারদের। ৩০০ এর বেশি রানের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তারা। ৮৭ বলে ৭৫ রান করে রবীন্দ্রের বিদায়ে হিসাব ওলটপালট হয়ে যায়।

টম লাথামকে দ্রুত ফেরান কুলদীপ যাদব। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মিচেল, তবে ৩৮ রানে কুলদীপ ভাঙেন সেই জুটিও। মার্ক চ্যাপম্যানকে কোহলির ক্যাচ বানান বুমরাহ। টেইল এন্ডারের কাউকে ১ রানের বেশি করতে দেননি মোহাম্মদ শামি।

একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিচেল। শেষ ওভারে আউট হন তিনিও। ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৭ বলে ১৩০ ইনিংস খেলে শামির বলে আউট হন মিচেল। তাতে পাঁচ উইকেট পুর্ণ হয় শামিরও। ২৭৩ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে ভারত। দুই ওপেনার মিলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেছেন ৬৩ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে পরপর দুই ওভারে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলকে ফিরিয়েছেন লকি ফার্গুসন। চারে নামা শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন কোহলি।

নিউজিল্যান্ড,ভারত,জয়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত