কাগজে-কলমে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তবুও টানা হারের পর ক্লান্ত সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পাওয়ার। ডাচদের বিপক্ষে জয় না পাওয়ার কোন কারণও ছিল না বাংলাদেশের। সব দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও টাইগার সমর্থকদের সব আশা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। স্কট এডওয়ার্ডসের দলকে ২২৯ রানে আটকে দিলেও সাকিব আল হাসান, লিটন দাসদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হারল ৮৭ রানে। তাতে করে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া টাইগারদের থামতে হচ্ছে গ্রুপ পর্বেই।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় দিয়ে শুরু। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ হার। সবশেষ ভারতের ইডেনে গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের দেয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে গেল ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ম্যাচে ডাচদের জয় ৮৭ রানে। এমন হারের কারণ আসলে খোঁজা যায় না। যার একটাই সংজ্ঞা- ‘লজ্জা।’ তবুও যদি কারণ খুঁজতে হয়, তার পুরোটা জুড়েই রয়েছে কেবল দায়িত্বহীনতা। অথচ ২০১১ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে ডাচরা।
এমন লজ্জাজনক হারের পর দলের অধিনায়ক সাকিবের কাছে এর কারণ কি হতে পারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নেদারল্যান্ডসকে ১৬০-১৭০ এর ভেতর আটকে রাখা উচিত ছিল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা ব্যাটিংয়ে খারাপ করছি। এর থেকে খারাপ আর হতে পারে না। এখান থেকে বের হওয়া কঠিন।’
সেখানে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয় এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসের বাজে বিশ্বকাপ কি না। জবাবে সাকিব বলেন, ‘এটা আপনি নির্ধিধায় বলতে পারেন, আমি দ্বিমত পোষণ করব না। এটা বাংলাদেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।’
এছাড়া সাকিব আরও বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা সংগ্রাম করছি নিজেদের সঙ্গে। আমাদের মাথায় কি চলছে আমার জানা নেই। এই দলটিকে দেখে বাংলাদেশ দল মনে হচ্ছে না। সমর্থকরা আমদের ভালো ও খারাপ সময়ে সাথেই ছিল।’