ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রেকর্ড জুটিতে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

রেকর্ড জুটিতে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হারলেও দ্বিতীয়টিতে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় সুপার ওভারে দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে সমতায় ফেরে টাইগ্রেসরা। ফলে আজকের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ নির্ধারণী। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আজ সকালে মিরপুরে টসে জিতে পাকিস্তান আগে ব্যাটিং নেয়ার পর নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের সংগ্রহ গড়ে। পরে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই টাইগ্রেস ওপেনারের রেকর্ড ওপেনিং জুটিতে হেসেখেলে ৭ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ নিজেদের করেছে বাংলাদেশ। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল টাইগ্রেসরা।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে পাকিস্তান। টার্গেট তাড়ায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১২৫ রান। নারী দলের ওয়ানডে ইতিহাসে উদ্বোধনীতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে শুকতারা রহমান ও শারমিন আক্তারের করা ১১৩ রান ছিল সর্বোচ্চ জুটি।

দলের জয়ের জন্য মাত্র ৪২ রান প্রয়োজন তখন নাশরা সান্ধুর বলে এলবিডব্লিউ হন ফারজানা হক। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৩ বলে ৫ চারের মারে খেলেন ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস। নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে আগে থেকেই সর্বোচ্চ রান ছিল ফারজানার। আজকের অর্ধশতক ছিল তার ১০ম। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০ অর্ধশতক ফারজানার, ওয়ানডে ক্রিকেটে একমাত্র সেঞ্চুরিও তার দখলে।

ফারজানার পর আরেক ওপেনার মুর্শিদাকেও ফেরান নাশরা। মাঠ ছাড়ার আগে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন মুর্শিদা। আগের ক্যারিয়ার সেরা ৫১ রানের ইনিংস ছাপিয়ে ১০৬ বলে ৬ চারের মারে এদিন তিনি করেন ৫৪ রান। এরপর ক্রিজে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বল মোকাবিলার আগেই রান আউট হন ফাহিমা।

তবে আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি জ্যোতি আর সোবানা মোস্তারি জুটি। তারা দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। মোস্তারি ৩০ বলে ১৯ আর জ্যোতি ২৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার সিধরা আমিন ও সাদাফ শামস দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। প্রথম উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০ ওভার পর্যন্ত।

৩১ রান করে শামস আউট হলে ভাঙে ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে মুনিবা আলি উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। এরপর আর বড় কোনো জুটি গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছে স্বাগতিকরা। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ছাড়া বাকি ৮ জনের মধ্যে মাত্র একজন দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে।

ব্যাটারদের এমন আসা যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সিধরা। তার অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করেই দেড়শো পেরোনো সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। এ ছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেন রাবেয়া খান।

জয়,সিরিজ,রেকর্ড
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত