সাফ অনূর্ধ্ব-১৯: ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১১ | অনলাইন সংস্করণ
ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে সাগরিকার একমাত্র গোলে জয় পায় স্বাগতিকরা। টানা দুই জয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে কোচ সাইফুল বারীর শিষ্যরা। তবে ভারত হারলেও সুযোগ শেষ হয়নি। নেপাল ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দল হবে আরেক ফাইনালিস্ট।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে আজ ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
খেলার শুরুতে ভারতই ঝাঁপিয়েছিল আক্রমণে। ১২তম মিনিটে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন নেহা। কিন্তু তিনি বাইরে মারেন। ভারতের হয়ে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলা অধিনায়ক নিতু লিন্ডার নেতৃত্বে ভারতের মধ্যমাঠ তৈরি করছিল একের পর এক আক্রমণ। তবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, জয়নাব বিবি রিতা, সুরমা জান্নাতরা ভারতীয় আক্রমণগুলো ভালোই সামলেছেন।
ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে আফিদার ফ্রি কিকে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়েও ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি সুরমা জান্নাত। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মুনকি আক্তার বক্সের একটু ওপরে ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। আফিদার শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় প্রাণ ফেরায় সাইফুল বারীর শিষ্যরা। সাগরিকা-পূজা দাসরা আক্রমণে মনোযোগী হলে চাপে পড়ে যায় ভারতের মেয়েরা। পর পর তিনটি প্রচেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। ৭১তম মিনিটে সুযোগ কড়া নাড়ে বাংলাদেশের দুয়ারে। স্বপ্নার কর্নারে বল বাঁক খেয়ে ছুটছিল গোল মুখে, ভারত গোলরক্ষক অনিকা দেবী কোনোমতে ক্লিয়ার করেন।
এরপর মুনকির ফিরতি শট উপরের জাল কাঁপায়। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে তীব্র আক্ষেপে পুড়তে হয় স্বাগতিকদের। মুনকি আক্তার একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে উঠে আনিকাকে একা পেয়েও তার গায়ে বল মেরে বসেন।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে আসে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। আচমকাই নিজেদের অর্ধ থেকে উঁচু করে পাস বাড়ান আফঈদা। ভারতের রক্ষণভাগ সেই বল ফেরানোর জন্য ঠিকঠাক তৈরি ছিল না। তাদের ফাঁক গলে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন সাগরিকা। এরপর নিখুঁত নিচু শটে গোল করে উল্লাসে মাতান দলকে। চলতি আসরে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো তিনটি।