বার্সেলোনা সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বাদ পড়লেও গত দুই মৌসুমে গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি কাতালান ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়াটার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। তবে দ্বিতীয় লেগে সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ঘরের মাঠে ফরাসি ক্লাবটির কাছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে কাতালানরা। এতে বার্সেলোনাকে বিদায় করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পিএসজি।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে শুরুতে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেয় রাফিনিয়া। ২৮তম মিনিটে দারুণ সেভে ব্যবধান ধরে রাখেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। বক্সের ভেতর থেকে এমবাপ্পের ডান পায়ের নিচু শট ফিরিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক।
পরের মিনিটেই বার্সেলোনার লাল কার্ডের ধাক্কা। বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় পিএসজির বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আরাউহো। মিনিট পাঁচেক পর রক্ষণে শক্তি বাড়াতে তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়ামালকে তুলে ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেসকে নামান বার্সেলোনা কোচ জাভি।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগে চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৪০তম মিনিটে তাদের ম্যাচে ফেরান দেম্বেলে। বাঁ দিক থেকে বারকোলার বাড়ানো বলে দূরের পোস্টে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ১-১ সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সফরকারীরা। চাপ ধরে রেখে ৫৪তম মিনিটে আবার বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় পিএসজি। বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে গোলটি করেন ভিতিনিয়া। পরের মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে ইলকাই গিনদোয়ানের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে।
একটু পরই রেফারির একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে টাচলাইনে থাকা পানির বোতলে লাথি মারেন জাভি, কিছু একটা বলতে থাকেন রেফারিকে। বার্সেলোনা কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
৬১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন এমবাপ্পে। জোয়াও কানসেলো বক্সে দেম্বেলেকে ফাউল করায় পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে বক্সে পড়ে যাওয়ার পর পেনাল্টির আবেদন করেন গিনদোয়ান, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি বরং রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন জার্মান মিডফিল্ডার। একই সঙ্গে ডাগআউটে বার্সেলোনার এক সাপোর্ট স্টাফ দেখেন লাল কার্ড।
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিষ্প্রভ থাকা রবের্ত লেভানদোভস্কি ৭৩তম মিনিটে গোল পেতে পারতেন। বক্সের বাইরে থেকে পোলিশ তারকার বাঁ পায়ের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
৮৯তম মিনিটে ডাবল সেভ করেন টের স্টেগেন। মার্কো আসেন্সিওর শট ঠেকানোর পর এমবাপের প্রচেষ্টাও রুখে দেন তিনি। তবে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা। কাছ থেকে শটে ম্যাচের শেষ গোল করেন এমবাপ্পে। দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে ৬-৪ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে ফরাসি ক্লাবটি।