শ্রীলঙ্কাকে দুই উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে শূভসূচনা করলো বাংলাদেশ। আজ শনিবার (৮ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন করে তোলেন টপ অর্ডাররা। হৃদয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষদিকে ধুঁকতে ধুঁকতে ২ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন টাইগার বোলাররা। তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হাসানদের বোলিং তোপে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানেই আটকে দেয় লাল-সবুজের দল। এরপর সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই টাইগাররা ওপেনার। ব্যর্থ হন শান্তও। তবে দলের হাল ধরেছিলেন তাওহীদ হৃদয়-লিটন দাস। এ দুজনের ব্যাটেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ, এরপর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও হৃদয়-লিটনের ৬৩ রানের জুটির সুবাদেই ৮ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার।
আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও হতাশ করেন। নুয়ান থুশারা বলটি বুঝতেই পারেননি তিনি। থুশারার ফুললেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন। তবে তা লাগেইনি। এতেই ভেঙেছে তামিমের স্ট্যাম্প। এতে দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি শান্তও। থুশার হাফভলি ডেলিভারিতে ড্রাইভটা ঠিকমত হয়নি শান্তর। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে তুষারার বলে আসালাঙ্কার মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন টাইগার অধিনায়ক।
ইনিংসের নবম ওভারে এসে দলীয় ৫০ রান ছাড়ায় বাংলাদেশ। হাসারাঙ্গাকে ছক্কা হাঁকিয়ে ওভার শেষ করেন হৃদয়। এটিই ইনিংসের প্রথম ছক্কা।
এরপর আরও তিনটি ছক্কা হাঁকান মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। তবে চতুর্থ বলেই পরাস্থ হৃদয়। ২০ বলে ৪০ রান করে থামেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর স্নায়ু ধরে রাখা ব্যাটিং বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছে। ১৩ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়ায় ১২৫ রানে। আর তাতেই এলো সহজ ম্যাচ কঠিন করে লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম জয়।