এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের মিশনে বাংলাদেশ। শেষ আটে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আজ শক্তিশালি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। নর্থ সাউন্ডে লাল-সবুজের দলের বিপক্ষে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নাজমুল শান্তর দল, শুরুতেই মিচেল স্টার্কের বলে বিদায় নেন তানজিদ তামিম। এরপর আরেক ওপেনার লিটন দাসকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। তবে এ দুজনের বিদায়ের পর বলার মত ইনিংস খেলতে পেরেছেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। তাঁর ৪০ রানের ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচে আজ হ্যাটট্রিক করেছেন প্যাট কামিন্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সপ্তম হ্যাটট্রিক এটি। একই সঙ্গে দ্বিতীয় কোনো অজি পেসার হিসেবে এ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড গড়লেন তিনি, এর আগের রেকর্ডটি ছিল ব্রেট লির, ২০০৭ সালের আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন লি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের ঘটনাও সেটি।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ।
জুটিতে অর্ধশতক রান করে দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন এই দুই ব্যাটার। কিন্তু ম্যাচের নবম ওভারে জাম্পার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে করেন ২৫ বলে ১৬ রান।
এরপর রিশাদ হোসেন দুই রান করে ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ছোট জুটি করার পর ফেরেন অধিনায়ক শান্তও। তার আগে ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৪১ রান। এরপর সাকিব আল হাসান এসে ৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আজ দলের হাল ধরতে পারেননি।
এদিকে একপ্রান্তে দ্রুত উইকেট হারালেও অপরপ্রান্তে আজ দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন হৃদয়। অজি বোলারদের সামলে চাপের মুখে আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২৮ বল খেলে ২ চার আর ২ ছয়ে তিনি আজ করেছেন ৪০ রান। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে পামিন্সের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। এরপর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থামে ১৪০ রানে।