ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাটিং বিপর্যয়, সেমিতে ৫৬ রানেই অলআউট আফগানিস্তান

ব্যাটিং বিপর্যয়, সেমিতে ৫৬ রানেই অলআউট আফগানিস্তান

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চমকের নাম আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড ও সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে রীতিমতো উড়ছিল তারা। তবে, সেমিফাইনালে উঠেই একেবারে ম্যাড়ম্যাড়ে অবস্থা দলটির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজ-রশিদ খানরা।

প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলতে নেমে মাত্র ১১ দশমিক ৫ ওভার টিকেছে আফগানদের ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানতো বটেই, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও যে কোনো এটি সবচেয়ে কম রানের নজির।

ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ২০ রানেই পতন হয়েছিল ৪র্থ উইকেটের। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি আফগানদের। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। দলীয় অর্ধশত রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন আরও ৩ জন ব্যাটার। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার আইসিসির মেজর কোনো আসরের সেমিফাইনাল খেলতে নেমে আফগানিস্তান টের পেল ক্রিকেটের নির্মম এক চিত্র।

ওপেনারদের ফেরালেই যেন আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ পুরোপুরি ব্যর্থ। টুর্নামেন্টের সেরা ৫ রান সংগ্রাহকের মাঝেই আছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। মার্কো জানসেন শুরুতেই ফেরান গুরবাজকে। এই ওপেনারের উইকেট হারানোর পরেই টের পাওয়া গিয়েছিল বিপর্যয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রিজা হেন্ডড্রিকসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গুরবাজ। ৩ বলে আউট হওয়ার সময় রানের খাতাই খোলা হয়নি তার।

জানসেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান ওয়ানডাউনে নামা গুলবাদিন নাইবকে। বিপর্যয় সামাল দিতে তাকে ওপরে উঠানো হয়েছিল আজ। কিন্তু সেটা কাজে লাগেনি কোনোভাবেই। বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনিও। পরের ওভারেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় আফগানরা। কাগিসো রাবাদার ওই এক ওভারেই ফেরেন মোহাম্মদ নবি আর ইব্রাহিম জাদরান। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাজঘরে ফেরার পর আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নটাও যেন অনেকটা মিলিয়ে আসে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি আফগানিস্তানের। দলের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে আজমতউল্লাহ ওমরজাই স্পর্শ করেছেন দুই অঙ্কের রানের ফিগার। পাওয়ারপ্লে শেষের ঠিক পরের ওভারে ফেরেন তিনিও। ২৮ রানে ৬ উইকেটের পতন। আফগানিস্তানের মিডল এবং টপ অর্ডারের পুরোটাই তখন সাজঘরে। শেষ ভরসা হিসেবে ছিলেন রশিদ খান এবং করিম জানাত।

স্বীকৃত এই দুই অলরাউন্ডারের দুজনেই খেলেছেন ৮ রানের ইনিংস। তাদের সেই রানের সুবাদেই ৫০ পার করে আফগানরা। ইনিংসটা যখনই কেবল বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল, তখনই একে একে ফেরেন করিম জানাত, নুর আহমেদ এবং রশিদ খান। আফগানরা এরপর গিয়েছে ৫৬ পর্যন্ত। এদিন তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।

প্রোটিয়াদের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন মার্কো জানসেন ও তাবরাইজ শামসি। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নর্কিয়া ও রাবাদা।

টি-টোয়েন্টি,আফগানিস্তান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত