পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে রাওয়ালপিন্ডিতে মাঠে নামার আগে বৃষ্টি হওয়া নিয়ে রাতভর ছিল শঙ্কা। তবে মধ্যরাতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার রমিজ রাজা মাঠে খেলা গড়ানোর কথা নিশ্চিত করেন। দেখতে দেখতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বপ্নটাও পূরণ হলো বাংলাদেশ দলের। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটিই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের খাতাটা ছিল পুরোই ফাঁকা। ১৩ টেস্টে মুখোমুখি হয়ে মাত্র ১টি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আর বাকি ১২টিতেই হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছিল টাইগারদের। তবে প্রথম টেস্টেই পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদের বিপক্ষে জয়ের খরা কাটিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে টাইগারদের সামনে সুযোগ আসে পাকিস্তানের মতো বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের।
বাংলাদেশ দিন শুরু করেছিল ১৪৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে। ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি থেকে এদিন যোগ হলো আরও ১৪ রান। দলীয় ৫৮ রানে জাকির আর ৭০ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান। দুই ওপেনার মিলে ১০ ওভারে রান তুলেছেন পার করেছেন ৫০ এর মার্ক। এরপরেই অবশ্য বিপত্তি। মির হামজার বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জাকির। জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমান। মিডঅফে আলতো শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শান মাসুদের হাতে। খুররাম পেয়েছেন নিজের প্রথম উইকেট।
দুই ওপেনার ফেরার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শান্ত এবং মমিনুল। এ দুজন মিলে পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে দেখেশুনেই খেলেছেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলেছে এ জুটি। মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১২২ রান।
মমিনুলের সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেলেও দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আউট হন শান্ত। আঘা সালমানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে টাইগারদের অধিনায়ক সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। দলীয় ১২৭ রানে শান্ত ফেরার পর ক্রিজে মমিনুলের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক-মমিনুল জুটিতে স্কোরবোর্ডে ওঠে আরও ২৬ রান। এরপর আবরার আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন মমিনুল, ৩৪ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্য্যাটার সাজঘরে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। মুশফিক-সাকিবের ৩২ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে ভিড়ে টাইগাররা।
আবা/এসআর/২৪