১৯৯৮ সাল থেকে ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়। এই কিংবদন্তি ফুটবলার ৪ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ফলে সালাউদ্দি যুগ শেষে তৃতীয় নির্বাচিত সভাপতি পেলো বাফুফে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন ছিলো আজ। যেখানে ২১টি পদের জন্য নির্বাচনি লড়াইয়ে নামেন ৪৬ জন। এর মধ্যে নতুন সভাপতি পদের জন্য লড়েন তাবিথ আউয়াল ও এফ এম মিজানুর রহমান। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক মিজানুর রহমানকে ১২৩ ভোটে হারিয়ে বাফুফের নতুন সভাপতি হন তাবিথ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এফ এম মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫ ভোট। নির্বাচন হয়েছে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ১৩৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন। ৫ জন আসেননি। নির্বাচন কমিশন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলে ও দলের বাইরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তার। এদিকে বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি।
সালাউদ্দিনের আমলে এর আগে স্বতন্ত্র থেকে ২০১২ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে দুইবার সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হন তাবিথ। ২০২০ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে সহসভাপতি পদে দাঁড়ালেও সেবার মহিউদ্দিন আহমেদ মহির কাছে এক ভোটে হেরে যান তিনি