তিন ম্যাচ ওয়ানডেতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ।
শারজার পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে আড়াই শ'র বেশি রান তাড়া করা কঠিন। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই কঠিন কাজটা সহজ করে ফেলেছিল আফগানিস্তান দুই উইকেটে ১০০ রান পেরিয়ে। কিন্তু ১১৮ রানে ২ উইকেট থেকে ১১৯ রানে ৫ উইকেট, আফগানিস্তান ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মাঝ ওভারের ব্যাটিং ব্যর্থতায়।
তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহ ও অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদি জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। শেষদিকে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ রশিদ খানরা ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ।
২৫৩ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে হারায় আফগানিস্তান। তাসকিন আহমদের বলে মাত্র ২ রান করে ফেরেন গুরবাজ। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আফগানদের হাল ধরেন ওপেনার সাদিকুল্লাহ আতাল ও রহমত শাহ।
দ্বিতীয় উইকেট ৫২ রান যোগ করে এই জুটি। তবে লম্বা সময় পর দলে ফেরা নাসুম আহমেদের স্পিনে ৩৯ রান করে ফেরেন ওপেনার আতাল।
এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে সঙ্গে নিয়ে দলের রানের গতি বাড়াতে থাকেন রহমত শাহ। এক প্রান্তে থিতু হওয়া রহমত নিজেট ফিফটি তুলে নিলেও অধিনায়ক শহীদি ধুঁকছিলেন। দলীয় ১১৮ রানে হঠাৎ ছন্দপতন হয় স্বাগতিকদের।
৪০ বলে ১৭ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক। ১১৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো আফগানিস্তান ১ রানের ব্যবধানে আরো দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
ওমরজাই,রহমত শাহদের বিদায়ে ১১৯ রানে ৫ উইকেট হারানো আফগানদের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন গুলবাদিন নায়েব ও মোহাম্মদ নবী।
তবে ক্রমেই বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হওয়া ৪৪ রানের এই জুটি ভাঙেন পেসার শরীফুল ইসলাম। দলীয় ১৬৩ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নাসুম-মিরাজদের সামলাতে ব্যর্থ রশিদরা ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। ২৮ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাসুম।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৬ রানে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে বাংলাদেশ। তবে মাঝ ওভারে ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগে। কিন্তু শেষদিকে জাকের আলী অনিকের ৩৭ ও নাসুমের ২৫ রানের ইনিংসে ২৫২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স করে বাংলাদেশের ৬৮ রানের জয়ের দিনে বড় ভূমিকা রাখেন নাসুম আহমেদ। তবে ১১৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরা হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।