জাকের আলি অনিকের ৯১ রানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ দল। চাপের মুখে লোয়ার অর্ডারদের নিয়েও যে এভাবে লড়াই করা যায়, ২৬ বছরের জাকের সেটি দেখিয়ে দিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। মাত্র ৯ রানের জন্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেলেন না।
এর আগে, থম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ক্যারিবীয়দের ১৪৬ রানেই গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে বেশ প্রতিরোধ গড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ফলে লিড পেয়েছে বেশ চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো।
প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পাওয়া বাংলাদেশ গতকাল কিংস্টন টেস্টের তৃতীয় দিনটা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে। ৫ উইকেট আর ২৩৩ রানের লিড নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনশেষে জাকের আলী ২৯ ও তাইজুল ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ দিনের শুরুতেই ফিরেছেন তাইজুল। তবে জাকের আলী খেলেছেন দুর্দান্ত।
আজ দিনের অষ্টম ওভারে প্রথম উইকেট হিসেবে তাইজুলকে হারায় বাংলাদেশ। এর আগপর্যন্ত দুই প্রান্তে থাকা জাকের-তাইজুল দুজনকেই শর্ট বাউন্সারে বেশ ভুগিয়েছেন উইন্ডিজ পেসাররা। এর মধ্যে জাকেরের হেলমেট এবং তাইজুলের হাতে ভিন্ন দুটি বল আঘাতও হানে। ধারাবাহিক বাউন্সারেই সাফল্য পেলেন আলজারি জোসেফ। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট বল কিছুটা সরে ঠেকাতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তাইজুল। তার গ্লাভস থেকে হেলমেটের গ্রিলে লেগে সেটি প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো কাভেম হজের হাতে ধরা পড়েছে। ৫০ বলে ১৪ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলে ফেরেন তাইজুল।
আট নম্বরে নেমে মুমিনুল হক একদম সুবিধা করতে পারেননি। কেমার রোচের বলে ভুল ড্রাইভ খেলে স্লিপে শূন্য রানেই ক্যাচ হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর হাসান মাহমুদকে নিয়ে ২৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন জাকের, যে জুটিতে হাসানের অবদান মাত্র ৩ রান।
হাসান মাহমুদ (৩) আর তাসকিন আহমেদকেও (০) ফেরান রোচ। কিন্তু জাকের একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। জাকের ৯১ রানে ফিরলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৬৮ রানে। এতে জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের সামনে দাঁড়িয়েছে ২৮৭ রানের লক্ষ্য।
আবা/এসআর/২৪