তামিম ইকবালের জ্ঞান ফিরেছে, পরিবারের সদস্যদের সাথে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে, আজ সকালে হঠাৎ করেই বিকেএসপি মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। দেশের ক্রিড়াঙ্গনে নেমে আসে কালো ছায়া। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া তামিম ইকবালের হার্টে পড়ানো হয়েছে রিং। বর্তমানে হাসপাতালের সিসিইউতে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা উন্নতির দিকে।
সিসিডিএম সমন্বয়কারী সাব্বির আহমেদ রুবেল গণমাধ্যমকে জানান, জ্ঞান ফিরেছে তামিমের। জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডিপিএলের ম্যাচে আজ বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। খেলার শুরুতে টসের পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম। পরে ফিল্ডিংয়েও নামতে পারেননি।
তামিমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাভারের কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালের (পূর্বের ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতাল) ডিরেক্টর ড. রাজিব জানিয়েছেন, একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এটার জন্য একটা এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্ট এবং স্ট্রেন্থ করা হয়। এটা খুবই স্মুথলি এবং এফিসিয়েন্ট হয়েছে। ব্লকটা এখন পুরোপুরি চলে গেছে। আমরা যেমনটি বলছিলাম একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল, এখন উনি অবজারভেশনে আছেন একটু সময় লাগবে। আমরা সবাই উনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি।
বিসিবি পরিচালক মাহবুবুল আনাম বলেন, 'প্রত্যেকটা স্টেপে আমার কাছে মনে হয়েছে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। এই জিনিসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে প্রতিটা স্টেপে নেয়া হয়েছে।'
তামিমের পেজ থেকেও এডমিনের বরাতে জানা যায়, ‘সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।
এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব) ম্যানেজার শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে ফের নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং রিং পরানো হয়। বর্তমানে তিনি কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (CCU) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।তার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।’