পর্যটন বিকাশে ৬৪ জেলা ঘুরবে 'বন্ধু চিরদিন'
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ১৯:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও পর্যটন শিল্পকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে সামাজিক ও ভ্রমণ বিষয়ক গ্রুপ 'বন্ধু চিরদিন'। সেই উদেশ্যেই একের পর এক জেলাগুলোতে ভ্রমণ করছে গ্রুপটি। এরই মধ্যে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী। পর্বত্য জেলার চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সাজেক, কক্সবাজার, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। এছাড়া রংপুর, যশোহর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, শেরপুরের গজনী, সুন্দরবন, ময়মনসিংহ, রাজশাহীসহ বেশ কিছু জেলার পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ করেছেন বন্ধু চিরদিন গ্রুপের পর্যটন টিম।
শুক্রবার (১৬ জুন) দিনব্যাপী মহেশখালী ভ্রমনে যায় গ্রুপটি। সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলভূমি মহেশখালী দ্বীপ উপজেলাটির অবস্থান হলো দেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত কক্সবাজার জেলায়। মহেশখালী দ্বীপের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হলো মৎস্য, লবণ, মিষ্টি পান ও কৃষি। তবে দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ পান চাষের উপর নির্ভরশীল বলেই জানা গেছে।
তবে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী যেতে ৬নং ঘাটে কিছু অব্যবস্থাপনাও দেখা গেছে। সেখানে দরদামে পর্যটকদের হয়রানি করতেও দেখা যায়। কিন্তু উক্ত ঘাটে অভিযোগ দেয়ার মতো দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।
ভ্রমন বিষয়ে গ্রুপের চিফ এডমিন জাফরুল আলম বলেন, বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার প্রত্যেক জেলাতেই পর্যটন শিল্পের কিছু না কিছু সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ভ্রমণের মাধ্যমে সেসব জেলার বিভিন্ন সৌন্দর্যকে তুলে ধরার চেষ্টা চালাবো। যাতে ভ্রমণ পিপাসুরা সুনির্দিষ্ট পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা বা স্থান ছাড়াও অন্যান্য জেলাগুলোতেও ভ্রমণে আগ্রহী হয়। চীফ এডমিন আরও বলেন, এ সপ্তাহেই গ্রুপের ট্যুর টিমের সাথে আলোচনা করেই আসছে পরর্বতী ট্যুরের দিনক্ষণ।
এ ব্যাপারে এডমিন মোস্তাক বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ট্যুর টিম সাধ্যমত অনেক জেলার সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে ভ্রমণ করেছে। কিন্তু পর্যটন শিল্পে অব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় দায়িত্বশীলদের মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন তিনি। মহেশখালী ভ্রমনের ট্যুর লিডার আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভ্রমণ পিপাসুরা সেখানে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। যেটা আমরা মহেশখালী ট্যুরের ক্ষেত্রে দেখতে পেলাম।
ট্যুরসঙ্গী কাজল ও দেলোয়ার বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝেও আমরা ছুটে যাই বিভিন্ন পর্যটন সম্ভাবনা এলাকায়। খুঁজে বেড়াই নতুন নতুন কিছু। জানা যায়, বন্ধু চিরদিন গ্রুপটি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই নানা সেবামূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছে। সেই সাথে পর্যটন বিকাশেও কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া কোন স্পন্সর ছাড়াই নিজ খরচে বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন সম্ভাবনা স্থানগুলো খুঁজে বেড়ান।