অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর দিনাজপুরের শুখ সাগর দিঘি
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ | অনলাইন সংস্করণ
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
অতিথিপরায়ণ জেলা হিসেবে বেশ সুখ্যাতি আছে দিনাজপুরের। প্রকৃতির অপার লীলায় প্রতি বছর এই জেলায় অতিথি হয়ে আসে ভিনদেশি পাখিরাও। জেলা শহরের অদূরেই সুখ সাগর দিঘীতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সুখ সাগর দিঘীর তীর। দর্শনার্থীরাও ভিড় করছেন এই পাখিদের দেখতে। দিনের ক্লান্তি শেষে কাজের ফাঁকে অনেকেই ঘুরতে আসেন দিনাজপুরের সুখ সাগর দিঘীতে।
সাগর না হয়েও এই বিরাটকায় দিঘীর নাম হয়েছে সুখ সাগর। এ জন্যই হয়তো সুখের সন্ধানেই ভিনদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ঘুরতে আসে এই অতিথি পাখিরাও। জেলার বেশ কিছু জায়গায় অতিথি পাখির আগমনে কলকল শব্দে ভরে উঠে জলাশয়গুলো।
দিনাজপুরের সুখ সাগর এবং পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ি ঘেঁষে বউতার নামক দুটি বড় জলাশয়ে প্রতি বছর কয়েক’শ অতিথি পাখি আসতে দেখা যায়। এসব পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঝাঁক বেঁধে এক সঙ্গে আকাশে উড়ার দৃশ্য বিমোহিত করে দর্শনার্থীদের।তবে গতবারের তুলনায় এবার অতিথি পাখির আগমন কম। কারণ হিসেবে দর্শনার্থীরা জানান, সুখ সাগরে মানুষের আনাগোনা অনেক বেশি। তার ওপর এখানে ভাড়ায়চালিত একটি শ্যালো মেশিন চলার কারণে পাখিরা ভয়ে আসতে চায় না।সরেজমিনে সুখ সাগরে গিয়ে চোখে পড়ে এমনই দৃশ্য। জনপ্রতি বিশ টাকার ভাড়া নিয়ে পুরো সুখ সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি শ্যালো মেশিনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তাতে সাময়িক বিনোদন পাচ্ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষজন।
সুখ সাগরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী সাজু বলেন, ‘আমি প্রতি বছর এখানে বেশ কয়েকবার ঘুরতে আসি। বিশেষ করে শীতের সময়টা অনেক ভালো লাগে। অতিথি পাখিরা আসে, তাদের কিচিরমিচির শব্দ একটা সুরের পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় একটু কম পাখি দেখা যাচ্ছে।’
সুখ সাগর দিঘী কর্তৃপক্ষ জানায়, এই দিঘীতে প্রতি বছর কয়েকশ অতিথি পাখি আসে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে পাখিগুলোকে নিরাপদ রাখতে। এবারও অনেক পাখি আসছে, তবে গতবারের তুলনায় কম।